সদ্যভূমিষ্ঠ হওয়া শিশু ; হিন্দু সমাজ কল্যাণ সমিতি হিন্দুসমাজের কতোটা দ্বায়িত্ব নিতে পারবে?


  হ্যাঁ বন্ধু, এইভাবেই লিখতে হলো! কিন্তু কি করি বলুন, এইভাবে লেখা ছাড়া যে আর কোনো উপায় ছিলোনা।

     হঠাৎ একদিন খবর দেখে আমি চমকে উঠি! কারন, গায়ে আগুন দিয়ে মৃত্যু বরন করা বোন অনিমা সরকারে খুনি sk হাফিজুরের মাত্র পাঁচ বছরের জেলের সাজা ঘোষণা হলো। সত্যিই খুব স্তম্ভিত হয়ে যাই। এই হাফিজুরই তো দিনের পরদিন ব্ল্যাকমেইল করে অনিমার নিস্পাপ শরীরটাকে শোষণ করেছে। sk হাফিজুরের যৌন শোষনের হাত থেকে নিজের শরীরটাকে বাঁচাতে 09/12/17 তারিখ বাধ্য হয়ে আগুনে পুড়িয়ে ছারখার করে দেয়। 



এই ঘটনা যেন মনে করিয়ে দেয়, যৌন রাক্ষস সুলতানদের হাত থেকে নিজের শরীরটাকে বাঁচাতে পদ্মাবতীর অগ্নিকুণ্ডতে ঝাঁপ দেওয়ার কথা। সত্যিই কি ভয়ংকর কাহিনী। 

     আপনারা অবাক হয়ে যাবেন, বীরভূম জেলার বোলপুর থানার রজতপুরের এই ঘটনা নিয়ে সব দলেরই নেতারা নিজেদেরকে জনদরদী প্রমান করতে কোনো চেষ্টাই কসুর করেনি। কিন্তু, প্রায় আড়াই বছর পরে যখন এই ঘটনার সাজা ঘোষণা হলো, 376 ধারার প্রমানের অভাবে সাজা হিসাবে sk হাফিজুরের মাত্র পাঁচ বছরের জেল হলো। 376  ধারার সত্যতা কেন প্রমান করা গেলোনা? 
কারন, পুলিশ 376 ধারার সত্যতা প্রমান করার জন্য sk হাফিজুরের মোবাইলটাকেই সিজ(seize) করেনি। অথচ sk হাফিজুর এই মোবাইলের ছবি দিয়েই অনিমাকে ব্ল্যাকমেইল করে দিনের পরদিন পবিত্র শরীরটাকে শোষণ করেছে । সাংবাদিকদের কথায়, পুলিশ sk হাফিজুলের মোবাইল sieze বা বাতিল করতে ভুলে গিয়েছে । কি আশ্চর্য জনক ঘটনা একটু হৃদয় দিয়ে ভেবে দেখুন! এই ঘটনাটির উপরে স্থানীয়ভাবে হিন্দুদরদীরা একটু নজর রাখলোনা! আর কতোদিন স্রোতে গা ভাসিয়ে হিন্দুর কাজ করার স্বপ্ন দেখবে হিন্দুসমাজ, যা সত্যিই খুব বিস্ময়কর! হিন্দুরা আর কতোদিন অপরের উপর দোষ দিয়ে নিজের দ্বায়িত্ব এড়িয়ে যাবে! জানিনা এর শেষ কোথায়। 

    খবরটা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অবাক হয়ে যাই। কি করা যায় এই অসহায় পরিবারের জন্য, গভীরভাবে ভাবতে লাগলাম। এতো ভাবনার কারণ - হিন্দুসমাজ কল্যাণ সমিতি(hsks) যে সবে মাত্র ভূমিষ্ট লাভ করেছে । ভূমিষ্ট হওয়া শিশুর দেখা ছাড়া কি বা করার ক্ষমতা আছে। তবু্ও বাধ্য হয়ে হিন্দুসমাজ কল্যাণ সমিতির বীরভূম জেলার দ্বায়িত্বে থাকা ও পূজনীয় তপন ঘোষের প্রিয় দীপক মাহাতোকে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা জানাই। hsks এর পক্ষথেকে দীপক মাহাতো স্বর্গীয় অনিমার অসহায় বাবা-মা ও দাদার সঙ্গে দেখা করেন। বিশদভাবে জানার চেষ্টা করেন, পরিবার বর্তমানে কি সমস্যায় আছেন। স্বর্গীয় নিস্পাপ অনিমার পরিবারের লোকজন আক্ষেপ করে জানান - সেইসময় পাশে কতো লোক ছিলো, একটু যদি সবাই মিলে এই কেসটার প্রতি নজর রাখতো তাহলে আমার মেয়ের সর্বনাশকারীর এতো কম সাজা হতোনা। পরিবারের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বাকি বিষয় এখানে আর লিখছি না। উনারা হিন্দুসমাজ কল্যাণ সমিতির(hsks) কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন।
 আমরা জানিনা এই অসহায় পরিবারকে কতোটা সহযোগিতা করতে পারবো
 এইটুকু দৃঢ়তার সঙ্গে বলছি , গুরু তপন ঘোষের আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে অকপট ভাবেই বলতে পারি সেতুবন্ধকারী নল নীল হতে না পারি, কিন্তু অরাজনৈতিক হিন্দু সেতু বন্ধনে কাঠবিড়ালির ভুমিকা অবশ্যই পালন করবো। হিন্দুসমাজ কল্যাণ সমিতির পক্ষথেকে সবাইকে করো জোড়ে অনুরোধ করছি, আপনারাও এই অসহায় পরিবারকে সহযোগিতা করুন।

Comments

Post a Comment

Popular Posts